শামীম আহমেদ ::- সরকারী বরিশাল কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ রাকিবুল ইসলাম রিজনকে পরিকল্পিতভাবে উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করার প্রচেষ্ঠাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বরিশালের ৮টি কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী,পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাশি এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে বিচারের দাবিতে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
শিক্ষার্থী এইচ.এম রাব্বির সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসময় বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসীর পক্ষে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান খান, শিক্ষার্থী মঈন, ঈমন, নোমান, নিলয়, তানভির, সোহান, রাইয়ান, আহত রাকিবুলের বোন সুমাইয়া আক্তার, টুম্পা আক্তার, ভগ্নিপতি সায়মন হোসেন ও আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
বিচারের দাবীতে নগরীর অমৃত লাল দে কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলি কলেজ, সরকারি বরিশাল কলেজ, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি আলেকান্দা কলেজ সহ ৮টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে।
মামলার বিবরন ও এলাকাবাসীরা জানায়, এলাকা বিভিন্ন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার প্রতিবাদ করার জের ধরে গত ১৫ মার্চ বিকালে রাকিবুল ইসলাম রিজন বাসা থেকে বের হয়ে মোটরবাইক নিয়ে কাশিপুর বাজারের দিকে আসার পথে নগরীর ইছাকাঠি প্রধান সড়কের উপর পরিকল্পিতভাবে পূর্ব থেকেই অবস্থান নেয়া প্রধান হামলাকারি কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ রিওয়ন সিকদারের নেতৃত্বে মোঃ সিহাব, মোঃ রাকিব, মোঃ লিখন সিকদার, রাব্বি কাজী, মোঃ সাদ ও ইজাজুল ইসলাম আবিরসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন রিজনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে বীরদর্পে চলে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন রিজনকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এসময় এলাকবাসী রিজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে এখানকার চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ ঘটনায় রিজনের মাতা রুবিনা বেগম (৫০) বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় নামধারী ৭ জনসহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় এখনও প্রধান হামলাকারী আসামীরা অজ্ঞাত ক্ষমতার বলে এলাকায় ভিতর ঘুড়ে বেড়িয়ে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই অভিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় তুলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
এখানে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন- দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে বরিশালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নগরীতে কঠোর অন্দোলনের ডাক দিয়ে বিচারের দাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না থেকে রাস্তায় অবস্থান নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আকতার হোসেনের কাছে এই মামলার সংক্রান্ত জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন- ওসি সাহেবকে কল করেন।
পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলালের সরকারি মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।।