রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি :: বরিশালের বাবুগঞ্জে ঝাড় ফুকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কাঞ্চন আলী হাওলাদার নামের ৭০ উর্ধ্ব ভন্ড ওঝার বিরুদ্ধে। এর ফলে ওই কিশোরী ২১ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা হয়েছে। যা বিয়ের রাতেই জানতে পারে কিশোরীর স্বামী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভন্ড ওঝা কাঞ্চন আলী হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
আটককৃত কাঞ্চন হাওলাদার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বকশির চর গ্রামের মৃত রেজাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
এই ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম।
১৮ বছরে পা রাখতে চলা কিশোরীর দিনমজুর বাবা জানান, ‘তার মেয়ের ওপর জ্বিনের আছর পড়ে। পাশাপাশি মেয়ের গোপন রোগ ছিল। এজন্য তাকে পার্শ্ববর্তী বকশিরচর গ্রামের বৃদ্ধ ওঝা কাঞ্চন হাওলাদারের কাছে নিয়ে যান।
প্রথম পর্যায় ঝাড় ফুক দিয়ে জ্বিন ছাড়িয়ে কয়েকদিন পরে গোপন সমস্যার চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলে। কথামতো কদিন পরে নিয়ে গেলে গোপন রোগের চিকিৎসা দেয়ার নামে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভন্ড ওঝা কাঞ্চন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ভন্ড ফকির কাঞ্চন নিজেই ঘটক হয়ে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পাঁচপাশা ইউনিয়নের বেপারীবাড়ির ছেলের সাথে সাত মাসের অন্তঃসত্বা কিশোরীকে বিয়ে দেয়। ফুলসজ্জার রাতেই কিশোরী অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে স্বামী।
এ নিয়ে বর ও কনের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ছেলের পরিবার বিয়েতে খরচ করা দেড় লাখ টাকা ফেরত দিতে বলে মেয়ের পরিবারকে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে মেয়ের বাবা বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে অবহিত করে।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ভন্ড ওঝা কাঞ্চন হাওলাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুপুরে কিশোরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।