শামীম আহমেদ :: বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার আবুল হাসেম কাজীর প্রবাসে থাকা ছেলে মোতালেব কাজীর দেশে থাকা স্ত্রী আয়সা খানম লাকির নিকট পাঠানো কষ্টে অর্জিত প্রায় বিশ লক্ষ ও ৪ লক্ষ টাকার মূল্যের স্বর্ণালংকার ও ছেলের নাবালোক দুটি ছেলে ও মে সহ পরকিয়া প্রেমিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী মুরাদের হাত ১৭ বছরের সংসার ভেঙ্গে চলে গিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করেছে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে কাজী মুরাদের রাজনৈতিক প্রভাবসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির মুখে আমাদের গোটা পরিবার বাড়ির ভিতর অবরুদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।
থানায় অভিযোগ করেও তাদের কাছ থেকে আইনের কোন সহযোগীতা পাচ্ছি না। এমনকি কাজী মুরাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে আমার প্রবাসী ছেলে দেশে আসতে ভয় পাচ্ছে।
তাই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতার মাধ্যমে আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা সহ আত্মসাৎ করে নিয়ে যাওয়া ও আমার ছেলের সন্তানদের উদ্ধার করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান।
আজ বৃস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রবাসে থাকা ছেলের হতভাগ্য অসহায় বৃদ্ধা বাবা আবুল হাসেম কাজী এই আকুতি-মিনতি করেন।
তিনি লিখিত পাঠ করার মাধ্যমে আরো জানান, ১৬ই নভেম্বর আমার আমার প্রবাসে থাকা ছেলের স্ত্রী আয়শা খানম লাকিকে পরকিয়া প্রেমের ফাদে ফেঁলে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক মুরাদ কাজী ভাগিয়ে নিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে ছেলের পাঠানো টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও ছেলের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ-সম্পদ ফিরে পেতে ১৭ই নভেম্বর মুলাদী থানায় মামলা করতে গেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মুরাদ কাজীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ না করে একটি অভিযোগ হিসাবে গ্রহণ করে বসে আছে। অন্যদিকে মুরাদ কাজীর ঘটনার কথা তুলে ধরে ছাত্রলীগ জেলা সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর অভিযোগ তুলে ধরার পরও তারা কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই তার বিরুদ্ধে।
এদিকে উপজেলার তেরোচর গ্রামের আতাহার কাজীর ছেলে মুরাদ কাজী এসকল অভিযোগের কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের অব্যাহত জীবননাশের হুমকি ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করার পাশাপাশি আমরা ঘড় থেকে বের হয়ে কোথাও যেতে না পারি সে কারনে তার বাহিনী দিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আজ কোন রকম তার বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটু বিচারের আশায় বরিশালে আমার অপর দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছি।
তিনি আরো দাবী করে বলেন, মুরাদ কাজী শুধু আমার ছেলে মোতালেব কাজীর ১৭ বছরের সংসার ভাঙ্গেনি সে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্ষমতা অপব্যাবহার করে ঐতিহ্যবাহী দলটির সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। মুরাদের কারনে আজ আমার ছেলে দেশে আসতে পারছে না। তাই আমি সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার সুযোগ্য পুত্র বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তাসহ ছেলে পাঠানো আত্মসাৎ করা অর্থ ও আমার নাতিদের ফিরে পেতে পারি তার সহযোগীতা কামনা করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বড় ছেলে আলতাফ হোসেন ভুলু ও ছোট ছেলে রাসেল কাজী।