নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ত্যাগের মূল্যায়ন না পেয়ে নব ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন সোহেল রাঢ়ী। নিস্ক্রিয়দের নিয়ে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সোমবার (২০ আগস্ট) বিকালে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পদ বঞ্ছিত জেলা ও মহানগর ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সামনে এই ঘোষনা দেন। পদত্যাগের ঘোষনা দেয়া সদ্য ঘোষিত বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী বলেন, বরিশাল জেলা ও মহানগরের মত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ছাত্রদলের পকেটে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান প্রভাবিত হয়ে ত্যাগী নেতাদের বঞ্ছিত করেছেন। বিরোধী দলের আমলে আমরা যারা সরকার এবং পুলিশের রক্তচু উপো করে রাজ পথে আন্দোলন করেছি তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিএনপি’র সংকটময় মূহুর্তে গ্রেপ্তার এবং হামলা-মামলা উপো করে রাজপথে আন্দোলনে সস্ক্রিয় থাকা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুজনের মত নেতাও কমিটিতে স্থান পায়নি। তিনি বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান বরিশালের সন্তান। তিনি বরিশালে এসে ঘোষনা দিয়েছিলেন যারা আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন না, যাদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা নেই তারা কমিটিতে স্থান পাবে না। কিন্তু তিনি সেই কথা রাখেন নি। বরং যাদের আন্দোলন সংক্রামে দেখা যায়নি, নেতা-কর্মীরা যাদের চেনে না তাদের দিয়েই বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি করা হয়েছে। শুধুমাত্র নিজের সার্থ আর নেতাদের মন রার জন্যই জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের পকেট কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আর তাই নব ঘোষিত ছাত্রদলের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক’র পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন সোহেল রাঢ়ী। এসময় বদ পঞ্চিত নেতা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মুন্না, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুজন, ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সহদেব সরমা, রিমন, এ্যালেক্স তমাল সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।