অনলাইন ডেস্ক// মোল্লারহাট জেড.এ ভূট্টো বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন শাহিনের কাছে উৎকোচ দাবি করে গণধোলাই খেলেন বরিশালের একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয়দানকারী মো. শাহ আলম শাহ্। সোমবার রাতে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ফেরীঘাট সংলগ্ন ডকইয়ার্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কথিত সাংবাদিক শাহ আলম নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের জেড. এ ভূট্টো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তুলি আক্তার নামে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করার অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহ আলম শাহ দলবল নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। টিভি চ্যানেল ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক শাহিন ও সহকারি শিক্ষক রফিকুলের কাছে উৎকোচ দাবি করে। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম কথিত সাংবাদিক শাহ আলমের হাতে দুই হাজার টাকা দিলে সংবাদ প্রকাশিত হবে না জানিয়ে বিদ্যালয় থেকে চলে আসেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শাহ আলম ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই বলে অপপ্রচার চালান।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে শাহ আলম দপদপিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন ডকইয়ার্ডের সামনে আসলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন তার কাছে ফেসবুকে অপপ্রচার করার বিষয়টি জানতে চায়। এতে চটে যায় কথিত সাংবাদিক শাহ আলম শাহ। উত্তেজিত হয়ে শিক্ষক শাহিনের সাথে অসদাচারণ করেন তিনি। শিক্ষকের সাথে এমন আচারণে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় জনতা শাহ আলমকে গণধোলাই দেয়। গণধোলাই খেয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় কথিত এই
সাংবাদিক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন শাহিন বলেন, গত বছর এসএসসি পরীক্ষার সময় এই সাংবাদিক শাহ আলম শাহ পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে এক হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালায়।
গণধোলাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে তার কাছে অপপ্রচারের বিষয়টি সম্পর্কে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার পর শাহালমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, এই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইট বাটা, বেকারিসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এসব অপকর্মে তিনি বাংলাদেশ সময় নামে একটি টিভি চ্যানেলের বুম ও একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে আতংকিত করেন বলে জানা গেছে।