অনলাইন ডেস্ক// আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠির দুটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ ১১ জন। আর বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরসহ ১৩ জন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সহসম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল, কেন্দ্রীয় যুবমহিলা লীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক কেশোয়ারা সুলতানা ও রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মুকুল মৃধা।
এদিকে এ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল, লন্ডন প্রবাসী জাতীয়তাবাদী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার একেএম রেজাউল করীম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, মুহাম্মদ ফয়জুল হক ও নারী নেত্রী মমতাজ বেগম।
অপরদিকে ঝালকাঠি-২ (সদর ও নলছিটি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম কবির রাব্বানি চিনু, কেন্দ্রীয় যুব লীগের সহসম্পাদক মিল্লাত হোসেন, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মো. সুলতান হোসেন খান।
এছাড়া এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, জেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু, সহসভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা যুবদল সভাপতি জি এম আব্দুস সবুর কামরুল ও কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদল। ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো ও ইঞ্জিনিয়ার একেএম রেজাউল করীমের পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মী এবং মাহাবুবুল হক নান্নু কারাগারে থাকায় তার পক্ষে তার স্ত্রী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।